ভবঘুরেদের দখলে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল
জমি-বাড়ি জবরদখল নয়, হাসপাতালেও জায়গা দখল। কার্যত ভবঘুরে এবং মানসিক প্রতিবন্ধীদের দখলে চলে গিয়েছে, উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল। চরম অব্যবস্থা হাসপাতাল জুড়ে। বিশেষ করে, তাঁদের নেক নজরে পড়ে ভয়ঙ্কর অবস্থা ফিমেল ওয়ার্ডের।

ওয়েব ডেস্ক: জমি-বাড়ি জবরদখল নয়, হাসপাতালেও জায়গা দখল। কার্যত ভবঘুরে এবং মানসিক প্রতিবন্ধীদের দখলে চলে গিয়েছে, উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল। চরম অব্যবস্থা হাসপাতাল জুড়ে। বিশেষ করে, তাঁদের নেক নজরে পড়ে ভয়ঙ্কর অবস্থা ফিমেল ওয়ার্ডের।
উলুবেড়িয়া মহকুমা হসপাতাল। এখন এককথায় নরক দশা এখানকার। মহকুমা হাসপাতাল হওয়ায় রোগীর চাপ লেগেই থাকে। এখান-ওখান থেকে রেফার হয়ে আসা রোগীদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তার ওপর এসে বসেছেন এরাও।
হাসপাতালের ফিমেল ওয়ার্ডে কার্যত ঘর বেঁধে ফেলেছেন এই ভবঘুরে এবং মানসিক প্রতিবন্ধীরা। তাঁদের জমানো ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে করিডর থেকে ওয়ার্ড। কিছু বললেও, কে কার কথা শোনে! বেশি কিছু বলতে গেলে, তেড়ে এসে যেন বাকিদেরই বের করে দেন এরা। সুপারকে বারবার বলেও, লাভ হচ্ছে না কিছুই। অভিযোগ রোগীদের। তার ওপর পাশেই সদ্যোজাতদের জন্য তৈরি SNCU। ফলে ইনফেকশন ছড়ানোর আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
হাসপাতাল সুপার সমস্যার কথা স্বীকার করে নিলেও, দায় নিতে নারাজ। হোম এবং ওপর মহলে তিনি সবকিছু জানালেও, কিছুই হচ্ছে না। অভিযোগ সুপারের গলাতেও। এদের নিয়ে এখন মহাসঙ্কটে পড়েছে হাসপাতাল। এরপর কী হবে? জবাব নেই কারোর কাছেই।