কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান প্রকল্পের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের খরচের দু`লক্ষ টাকা একশো দিনের কাজের প্রকল্প থেকে মেটানোর জন্য নির্দেশ দিলেন নদিয়ার জেলাশাসক। ফেব্রুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রীর সফরে খরচ হয়েছে ৩ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা। তারমধ্যে এক লক্ষ ১৬ হাজার টাকা সরকারি তহবিল থেকে মিটিয়ে দিয়েছেন জেলাশাসক। বাকি দু`লক্ষ টাকা মেটানোর জন্য জেলা পরিষদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের খরচের দু`লক্ষ টাকা একশো দিনের কাজের প্রকল্প থেকে মেটানোর জন্য নির্দেশ দিলেন নদিয়ার জেলাশাসক। ফেব্রুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রীর সফরে খরচ হয়েছে ৩ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা। তারমধ্যে এক লক্ষ ১৬ হাজার টাকা সরকারি তহবিল থেকে মিটিয়ে দিয়েছেন জেলাশাসক। বাকি দু`লক্ষ টাকা মেটানোর জন্য জেলা পরিষদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একদিনের জন্য জেলা সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই একদিনেই খরচ হয়েছে ৩ লক্ষ ১৬ হাজার ৬৪ টাকা। জেলা সফরে মূলত প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব সহ ছিলেন বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীরা। হাজির ছিলেন জেলার বিভিন্ন স্তরের প্রশাসনিক কর্তারা। বৈঠকের জন্য একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। সেই মঞ্চ তৈরি, অতিথিদের খাওয়া সহ বিভিন্ন খাতে খরচ হয়েছে মোট ৩ লক্ষ ১৬ হাজার ৬৪ টাকা। জেলাশাসকের সই করা এক নোটে এই খরচের বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
এরমধ্যে ১ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা সরকারি তহবিল থেকে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওই নোটেই বাকি দু`লক্ষ টাকা মেটানোর জন্য জেলা পরিষদকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। এমনকি এনআরইজিএর একশো দিনের কাজের প্রকল্প থেকে টাকা মিটিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক- জেলাপরিষদকে এনআরইজিএর তহবিল থেকে টাকা মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। নোটে খরচের তালিকাটি ছাপানো হলেও কোন তহবিল থেকে খরচ করা হবে তা কিন্তু হাতে লিখে দেওয়া হয়েছে। অর্থের অভাবে একশো দিনেক কাজের প্রকল্পে কাজ করানোর পরও অনেক সময় টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। তখন মুখ্যমন্ত্রীর সফরের বিপুল খরচের একাংশ সেই তহবিল থেকে মিটিয়ে দেওয়া নির্দেশে স্বভাবতই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।