সবংয়ে ছাত্র খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে শিলমোহর দিয়ে অভিযোগকারী ছাত্রকেই গ্রেফতার করল পুলিস
মুখ্যমন্ত্রীর অর্ন্তকলহ তত্ত্বেই শিলমোহর পুলিসের। সবং কলেজে ছাত্র খুনের ঘটনায় অভিযোগকারীকেই গ্রেফতার পুলিসের। গ্রেফতার কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌমেন গাঙ্গুলি। ফের দলদাসের ভূমিকায় পুলিস। অভিযোগ বিরোধীদের।
ওয়েব ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর অর্ন্তকলহ তত্ত্বেই শিলমোহর পুলিসের। সবং কলেজে ছাত্র খুনের ঘটনায় অভিযোগকারীকেই গ্রেফতার পুলিসের। গ্রেফতার কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌমেন গাঙ্গুলি। ফের দলদাসের ভূমিকায় পুলিস। অভিযোগ বিরোধীদের।
সবং কলেজে ছাত্র খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের আড়ালে সক্রিয় হতে দেখা গেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিস সুপার ভারতী ঘোষকেই। ছাত্র পরিষদের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব বলে দায় এড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকেই শিলমোহর দিল পুলিস। শুক্রবার সবং কলেজে ছাত্র খুনের ঘটনায় গ্রেফতার কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌমেন গাঙ্গুলি। ছাত্র পরিষদ নেতা কৃষ্ণপ্রসাদ জানা খুনের পর কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রথম অভিযোগ জানিয়েছিলেন এই সৌমেন গাঙ্গুলিই। এই ছাত্র নেতার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিসে অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তিনজনকে গ্রেফতারও করে পুলিস। কিন্তু এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন এই ঘটনা ছাত্র পরিষদের অর্ন্তদ্বন্দ্বের ফল। তদন্তের মোড় ঘোরে। এরপর পুলিসের হাতে গ্রেফতার হয় দুই ছাত্র পরিষদ সদস্য। শুক্রবার সবং থেকে সৌমেনকে গ্রেফতার করে পুলিস।
সৌমেন গাঙ্গুলিকে গ্রেফতারের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা। শাসকদলের ছাত্র সংগঠনকে আড়াল করতে পুলিসের এই মরিয়া প্রচেষ্টা কেন তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। যার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করল পুলিস তাকেই হাজতে পুরে গোটা ঘটনাকেই কী ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হল না? এখন এই প্রশ্নেই সরব হচ্ছে বিরোধীরা।