বাতাসে বহিছে Corona ভাইরাস! সাবধান, বলছে Lancet-র নয়া রিপোর্ট
একে অপরের সামনেও আসেন নি। অথচ সংক্রমণ ছড়িয়েছে। কোভিড ১৯ ভাইরাস বায়ুবাহিত না হলে, তা সম্ভবই হত না।
নিজস্ব প্রতিবেদন- হাঁচি, কাশি, থুতু ফেলা থেকেই ছড়িয়ে পড়ে করোনার ভাইরাস, এই বক্তব্যের ৩৬০ ডিগ্রি উল্টোদিকে হাঁটলো ল্যানসেটের নতুন রিপোর্ট। তাঁদের নয়া গবেষণা বলছে, করোনার ভাইরাস বায়ুবাহিত। তাই বাতাসেই ভেসে বেড়াতে পারে কোভ ২ সার্স ভাইরাস। আর এই রিপোর্ট বেরোতেই ঘুম ছুটেছে বিশেষজ্ঞ মহলের।
ল্যানসেটের এই রিপোর্টের পিছনে ১০ দফা যুক্তিও দেখিয়েছেন গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ৬ গবেষক। ব্রিটেন, আমেরিকা ও কানাডার এই ৬ বিশেষজ্ঞের মতে, করোনা বায়ুবাহিত নয়, এমন সহজ সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়াটা ঠিক নয়। তাঁদের গবেষণা বলছে, কোয়ারেনটিন হোটেলে পাশপাশি ঘরে থাকা লোকেদের মধ্যে সংক্রমণ হয়েছে। তাঁরা একে অপরের সামনেও আসেন নি। অথচ সংক্রমণ ছড়িয়েছে। কোভিড ১৯ ভাইরাস বায়ুবাহিত না হলে, তা সম্ভবই হত না।
আরও পড়ুন: 'খুবই ভয়ঙ্কর'! করোনার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সদ্যোজাত থেকে পাঁচ বছরের শিশুরা
গবেষকরা তাঁদের রিপোর্টে আরও লিখেছেন, অন্তত ৩৩ থেকে ৫৯ শতাংশ ক্ষেত্রে হাঁচি বা কাশির মত উপসর্গ ছাড়াই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এ পর্যন্ত যত সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তার বেশিরভাগই বাড়িতে বসে থাকা মানুষদেরই হয়েছে। এমনকি হাসপাতালে পিপিই কিট পরে স্বাস্থ্য সহয়োগিতা দেওয়ার পরেও তাঁদের মধ্যে যে হারে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তা ভাইরাস বায়ুবাহিত না হলে সম্ভবই ছিল না বলে দাবি গবেষকদের।
গবেষকরা আরও দাবি করেছেন, ল্যাবরেটরিতে করোনা ভাইরাস উড়তেও দেখা গিয়েছে। আর বায়ুবাহিত অবস্থায় তার সংক্রমণের ক্ষমতাও ছিল ঘণ্টা তিনেকের মত। এই অবস্থায় কোভিড প্রোটোকল পরিবর্তন করার কথাও বলা হয়েছে ল্য়ানসেটের এই নয়া রিপোর্টে। পরিস্থাতি এনও হতে পারে যে, বাড়িতেও মাস্ক পরে থাকার পরামর্ষ দিতে পারেন চিকিৎসকেরা।