ঘটনা না দেখিয়ে সমাজ সচেতনতার দায়িত্ব নিক মিডিয়া: ফিরহাদ হাকিম
চ্যানেলের টিআরপি বাড়ানোর জন্য ধর্ষণের খবর না দেখিয়ে সমাজ সচেতনতার উন্মেষ ঘটানোর দায়িত্ব নেওয়া উচিত মিডিয়ার। সংবাদ মাধ্যমের কী করা উচিত নয়, আর কী করা উচিত তা নিয়ে আরও একবার নিজেদের মতামত জানালেন পুর ও নগরোন্নয়ণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মন্ত্রীর এই বক্তব্যের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে সাম্প্রতিককালের ঘটনাগুলিতে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে।
চ্যানেলের টিআরপি বাড়ানোর জন্য ধর্ষণের খবর না দেখিয়ে সমাজ সচেতনতার উন্মেষ ঘটানোর দায়িত্ব নেওয়া উচিত মিডিয়ার। সংবাদ মাধ্যমের কী করা উচিত নয়, আর কী করা উচিত তা নিয়ে আরও একবার নিজেদের মতামত জানালেন পুর ও নগরোন্নয়ণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শনিবার মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন ঘটনাগুলি ঘটলে কী ভাবে পুলিসকে খবর দেওয়া যাবে সে বিষয় জনগনকে সচেতন করুক মিডিয়া। একই সঙ্গে, সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। যে কোনও ঘটনা ঘটলেই পুলিসের দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলেছেন।
মন্ত্রীর এই বক্তব্যের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে সাম্প্রতিককালের ঘটনাগুলিতে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে। মন্ত্রী বলেছেন যে কোনও অসামাজিক ঘটনার খবর পেলে তা কী করে পুলিসকে জানানো যাবে সে বিষয় আলোকপাত করুক মিডিয়া। কিন্তু বাস্তবে, বারবারই কখনও নিষ্ক্রিয়তা অথবা কখনও অতিসক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে পুলিসের বিরুদ্ধে। পার্ক স্ট্রিট কাণ্ড থেকে কাটোয়ায় ধর্ষণ, কার্টুন কাণ্ডে অম্বিকেশ মহাপাত্রের গ্রেফতারের ঘটনা থেকে গুড়িয়ার উপর শারীরিক নির্যাতন, হত্যা এবং দেহ লোপাটের ঘটনা, প্রতিটি খবরই প্রকাশ্যে এনেছে মিডিয়া। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরেই কার্যত টনক নড়ে প্রশাসনের। ক্ষেত্র বিশেষে সুবিচারও পায় অভিযোগকারীরা। এর পাশাপাশি, প্রতি ক্ষেত্রেই কখনও পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করার অভিযোগ উঠেছে, কখনও অভিযোগ উঠেছে অতিসক্রিয়তার। তাই পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও পরামর্শ, দু`য়ের বাস্তবতাই প্রশ্নের মুখে।