R G Kar Incident: 'কীর্তিমান' সঞ্জয়ের আরও ভয়ংকর কীর্তি প্রকাশ্যে! শাশুড়ি জানালেন গর্ভপাতের কথা...
"এই ঘটনায় পুলিসে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সঞ্জয় একদম-ই ভালো নয়। তাকে ফাঁসি দাও বা যা চাও তুমি তার সঙ্গে কর।"
![R G Kar Incident: 'কীর্তিমান' সঞ্জয়ের আরও ভয়ংকর কীর্তি প্রকাশ্যে! শাশুড়ি জানালেন গর্ভপাতের কথা... R G Kar Incident: 'কীর্তিমান' সঞ্জয়ের আরও ভয়ংকর কীর্তি প্রকাশ্যে! শাশুড়ি জানালেন গর্ভপাতের কথা...](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2024/08/20/488286-sanjay.jpg)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার সামনে এল 'কীর্তিমান' সঞ্জয়ের আরও ভয়ংকর কীর্তি। সামনে আনলেন আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়ের এক শাশুড়ি। সঞ্জয় রায়ের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর মা তিনি। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ে যখন ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তখন তাঁকে মারধরে করে অভিযুক্ত সঞ্জয়। যার জেরে তাঁর মেয়ের গর্ভপাত হয়ে যায়। এই ঘটনায় তিনি পুলিসে অভিযোগও দায়ের করেন। এমনকি তারপর থেকে এখনও তাঁর মেয়ে অসুস্থ।
অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের শাশুড়ি বলেন, "২ বছর বিবাহিত ছিল আমার মেয়ে। আমার মেয়ের সঙ্গে এটা ছিল তার দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম দিকে ৬ মাস সবকিছু ভালোই ছিল। ভালোই চলছিল। কিন্তু মেয়ে যখন ৩ মাসের গর্ভবতী, তখন সঞ্জয় তাকে ভীষণভাবে মারধর করে। যার জেরে মেয়ের গর্ভপাত হয়ে যায়। এই ঘটনায় পুলিসে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তারপর থেকেই আমার মেয়ে অসুস্থ। আমি-ই আমার মেয়ের ওষুধের সমস্ত খরচ বহন করি। সঞ্জয় একদম-ই ভালো নয়। তাকে ফাঁসি দাও বা যা চাও তুমি তার সঙ্গে কর।" পাশাপাশি, সঞ্জয়ের শাশুড়ি আরও বলেন, "এই ঘৃণ্য অপরাধ নিয়ে আমি কোনও কথা বলব না। তবে সে একা এটা করতে পারে না। তার একার এই কুকর্ম করার ক্ষমতা নেই।"
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই। এর আগে রবিবারই সিবিআই সঞ্জয় রায়ের একটি সাইকো-অ্যানালিসিস টেস্ট করেছে। যেখানে সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (সিএফএসএল)-এর বিশেষজ্ঞদের একটি দল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সঞ্জয় রায় মানসিক রোগী বলে সন্দেহ করছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন রাতে এক মহিলাকে ভিডিয়ো কল করে তাঁকে স্ট্রিপ করতে অর্থাত্ জামাকাপাড় খুলতে বলে ধৃত সঞ্জয়। সঞ্জয়ের আরও অনেক কীর্তি-ই সামনে এসেছে।
তার মধ্যে একটি হল সে পেশেন্ট পার্টির লোকজনের ফোন নম্বর জোগাড় করে তাদের ফোন করত। কাশীপুরের এক তরুণীকে বিভিন্ন সময়ে ফোন করে এভাবেই উত্ত্যক্ত করত সঞ্জয়। মাস তিনেক আগে আরজি করে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। সঞ্জয় সে সময়ে তাঁকে সাহায্য করে। সেই সুযোগে ওই তরুণীর প্রেসক্রিপশন থেকে তার ফোন নম্বর দেখে নেয় সে। তারপর থেকেই ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করা শুরু হয়। পাঁড় মাতাল সঞ্জয়ের ৩-৪টে বিয়ে বলেও জানা গিয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)