SSC Scam: মামার বয়ানে বিপাকে কল্যাণময়, পার্থর জামাইকে টানা জেরা ইডির
স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার প্রত্যন্ত গ্রাম খিরিন্দায় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় তৈরি করেন পাঁচতারা স্কুল। প্রায় ১৫ বিঘা জায়গার উপর গড়ে উঠেছে এই স্কুল
পিয়ালি মিত্র: এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িয়ে বর্তমানে জেলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। এবার ইডির নজরে তাঁর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরতেই তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লক্সে টানা জেরা করছে ইডি। গত ২৩ আগস্ট তাঁকে প্রথমবার তলব করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আগে ২ বার নোটিস দেওয়া হলেও তিনি হাজিরা দেননি। কেন তাঁকে জিজ্ঞাসবাদ? তদন্তকারীদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কল্যাণময় ভট্টাচার্যের মামার বয়ান। মেদিনীপুরের পিংলার বাসিন্দা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারি। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১৮ সাল নাগাদ কৃষ্ণচন্দ্র যে মাছের ব্যবসা করতেন সেখানে জড়িত ছিলেন কল্যাণময়। প্রথামিকভাবে বিনিয়োগ করেন ১০ লাখ টাকা এবং একটি সংস্থা গঠন করেন। শুধু তাই নয়, ওই সংস্থা তৈরির পর আরও বহু সংস্থা তৈরি করেন যা ছিল শুধু খাতায় কলমে।
আরও পড়ুন-লন্ডনে সর্বস্ব লুট ভারতীয় ক্রিকেটারের, হোটেল থেকেই চুরি ব্যাগ-টাকা-গয়না!
কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারী তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, কল্যাণময় যেসব সংস্থা তৈরি করেন তার মধ্যে অধিকাংশ কোম্পানিরই ডিরেক্টরের পদ বসানো হয়েছিল তাঁকে। এর জন্য তাঁকে মাসে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হতো। দ্বিতীয় একটি বিষয়ও গুরুত্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইডির কাছে। পিংলার বি সি এম স্কুলের চেয়ারম্যান কল্যাণময় ভট্টাচার্য। কৃষ্ণচন্দ্রের বয়ান অনুযায়ী ওই স্কুলটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ১৪-১৫ কোটি টাকা। যে জমিতে ওই স্কুলটি গড়ে উঠেছে সেটি হয়েছে কল্যাণময়ের নগদ টাকায়। ওইসব কাজই করা হয় পার্থর নির্দেশে। তদন্তকারীরা চাইছেন এইসব প্রশ্ন উত্তর খুঁজতে।
স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার প্রত্যন্ত গ্রাম খিরিন্দায় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় তৈরি করেন পাঁচতারা স্কুল। প্রায় ১৫ বিঘা জায়গার উপর গড়ে উঠেছে এই স্কুল। মোটা টাকা দিয়ে সেখানে ভর্তি করতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। নামী সেই ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে সন্তানদের ভর্তিও করেন অভিভাবকরা। এখন তাতেই তাঁরা বিপদে পড়েছেন বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। কী হবে তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ? বছর কি নষ্ট হবে? ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না তাঁরা। তবে অনেক আগে থেকেই চর্চায় ছিল পিংলায় খিরিন্দা এলাকার এই স্কুলটি। হালে তৈরি ঝাঁ চকচকে এই ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে হেন কোনও জিনিস নেই, যা নেই। একাধিকবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওই স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। এই স্কুলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণ ভট্টাচার্যের মামা কৃষ্ণপ্রসাদ অধিকারী। ইডি তাঁর বাড়িতে গিয়েও বেশকিছু কাগজপত্র ও নথি সংগ্রহ করে।