১৯৯৩-এর মুম্বই বিস্ফোরণ কাণ্ডে আবু সালেম সহ দোষী সাব্যস্ত ৬

১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করা হল আবু সালেম সহ ৬ জনকে। ব্যক্তিগত জামিনে আবদুল কায়ুমকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মুম্বইয়ের বিশেষ টাডা আদালত আজ তাদের দোষী সাব্যস্ত করে। ১৯ জুন সাজা ঘোষণা করা হবে। গত ২৪ বছর ধরে চলা এই মামলায় অবশেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।

Updated By: Jun 16, 2017, 02:16 PM IST
১৯৯৩-এর মুম্বই বিস্ফোরণ কাণ্ডে আবু সালেম সহ দোষী সাব্যস্ত ৬

ওয়বে ডেস্ক : ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করা হল আবু সালেম সহ ৬ জনকে। ব্যক্তিগত জামিনে আবদুল কায়ুমকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মুম্বইয়ের বিশেষ টাডা আদালত আজ তাদের দোষী সাব্যস্ত করে। ১৯ জুন সাজা ঘোষণা করা হবে। গত ২৪ বছর ধরে চলা এই মামলায় অবশেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।

১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ১২টি জায়গা ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। এয়ার ইন্ডিয়া বিল্ডিং, মুম্বই স্টক এক্সচেঞ্জ সহ একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় ২৫৭ জনের। আহত ৭১৭ জন। মোট ২৭ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয় এই ঘটনায়।

গত ২৪ বছর ধরে প্রায় ৪০০ প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে এই মামলায়। তাদের মধ্যে কয়েকজনের বয়ানও রেকর্ড করা হয়। ৭ জনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়। মুস্তাফা দোসা(ওরফে মুস্তাফা মজনু), আবু সালেম, রিয়াজ সিদ্দিকি, কায়ুম শেখ, তাহির মার্চেন্ট, করিমুল্লা খান ও ফিরোজ খানকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় ১৯৯৩, ১৯৯৫, ২০০৭ ও ২০১৩ সালে দফায় দফায় গ্রেফতার করা হয় বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকেও। সেই সঙ্গে মামলা চলতে থাকে বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

আজ সকাল ১০:৫০-এ শুরু হয় এই মামলার শুনানি। এক এক করে আদালতে হাজির হয় মুস্তাফা দোসা(ওরফে মুস্তাফা মজনু), আবু সালেম, রিয়াজ সিদ্দিকি, কায়ুম শেখ, তাহির মার্চেন, করিমুল্লা খান ও ফিরোজ খান। সাক্ষ্য অনুসারে জানা যায়, বিস্ফোরণের আগে দুবাইতে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউড ইব্রাহিমের ডাকা বৈঠকে যোগ দেয় অভিযুক্ত মুস্তাফা দোসা ও তার ভাই মহম্মদ দোসা। এরপর হামলার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে টাইগার মেননের সঙ্গে তারাই বৈঠক করে মুম্বইয়ে। টাইগার মেননই অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ করেছিল বলে জানা যায়। আর এই গোটা ঘটনায় দাউদের ডানহাত আবু সালেমের ভুমিকা ছিল প্রধান। অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহে ভুমিকা ছিল সপ্তম অভিযুক্ত আব্দুল কায়ুমেরও। তবে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ না থাকার অভাবে ব্যক্তিগত বন্ডে তাকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জুন ধার্য করা হয়েছে। সেই দিনই তাদের সাজার মেয়াদ ঘোষণা করা হবে।

.