ভোটাভুটিতে পাস খাদ্য সুরক্ষা বিল, স্বপ্ন দেখছে ভারত
কেন্দ্রের খাদ্য সুরক্ষা বিলকে 'উন্নয়নমূলক প্রকল্পের' অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে বলে মন্তব্য করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু সুষ্ঠ ভাবে বিলটি পাশ করাতে একদিকে যেমন বাধ সাধল বিজেপি, তেমনই খাদ্য নিরাপত্তা বিল পাশের আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার দাবি তুললেন শরিক মুলায়ম সিং যাদবও।
লোকসভা ভোটের আগে বড় সফলতা ইউপিএ সরকারের। দীর্ঘ ৯ ঘণ্টার আলোচনার পর লোকসভায় পাস খাদ্য সুরক্ষা বিল। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ৬৭ শতাংশ ভারতকে ১.২৫ টাকায় রেশন দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে মনমোহন সরকার। প্রকল্পের মোট খরচ ২২ বিলিয়ন ডলার। বিল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''মানুষের স্বার্থে পাস হল আরও এক বিল।"
"সবাইকে খাদ্য নিরাপত্তা দিতে পারে ভারত। সারা দুনিয়াকে এই মহত্ বার্তাটা দেওয়ার ঐতিহাসিক মুহূর্তটা এসেছে", সর্বসম্মতিতে খাদ্য নিরাপত্তা বিল পাশের আবেদন করতে গিয়ে লোকসভায় কথাগুলো বললেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। সাধারণত লোকসভায় খুব একটা বলতে দেখা যায় না কংগ্রেস সভানেত্রীকে। কিন্তু আজ বললেন হিন্দি, ইংরেজি মিশিয়ে।
সোমবার লোকসভায় বিতর্কের সময় সমাজবাদী পার্টি প্রধান মুলায়ম প্রশ্ন তোলেন, "গরীব মানুষ যখন খাদ্যাভাবে মারা যাচ্ছিল, তখন কেন এই বিল আনেননি?" খাদ্য বিল এনে কংগ্রেস নির্বাচনি বৈতরণী পার করার চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন মুলায়েম।
কংগ্রেস ১.২৫ টাকায় ৭০ শতাংশ 'হিন্দুস্তান'-এর খাদ্য সমস্যা মেটানোর প্রকল্প এনেছে। রাজনৈতিক কুশীলবরা মনে করছেন, লোকসভা ভোটে জয়ের ক্ষেত্রে এটা মনমোহন সরকারের 'তুরুপের তাস'।
তার আগেই বিজেপি নেতা মুরলীমনোহর যোশী খাদ্য নিরাপত্তা বিল নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, এটা খাদ্য নিরাপত্তা বিল নয়, ভোট কুড়নোর বিল। সেই কটাক্ষের জবাব না দিয়ে সোনিয়া গান্ধী বললেন, ২০০৯-এর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রাখতে পেরে তিনি গর্বিত। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গণবণ্টন ব্যবস্থার উন্নতি জরুরি বলেও মন্তব্য করেন কংগ্রেস সভানেত্রী।