পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের চাবি নিখোঁজ!
পুরী জেলা প্রশাসনের হাতে সেই চাবি নেই। কার কাছে সেই চাবি রয়েছে তারও কোনও হদিশ নেই
নিজস্ব প্রতিবেদন: সঙ্কটের মুখে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ‘রত্নভাণ্ডার’-এর নিরাপত্তা। দ্বাদশ শতাব্দীর পুরী জগন্নাথ মন্দিরের মূল্যবান ‘রত্নভাণ্ডার’-এর চাবি পাওয়া যাচ্ছে না। খবর রটতেই আলোড়ন পড়েছে বিভিন্ন মহলে। এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুরীর শঙ্করাচার্য ও স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়েই বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। এখন প্রশ্ন উঠছে ওই রত্নভাণ্ডারের নিরাপত্তা নিয়ে।
আরও পড়ুন-বিকল মেট্রোর এসি, তুমুল যাত্রী বিক্ষোভে কিছুক্ষণ বন্ধ রইল ট্রেন
কয়েক মাস আগেই ভণ্ডারের চাবি হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ৪ এপ্রিল মন্দির কমিটির পরিচালন সমিতির বৈঠকে এনিয়ে তুলাকালম হয়। প্রসঙ্গত, ৩৪ বছর পর গত ৪ এপ্রিল ১৬ সদস্যের একটি দল মন্দিরের রত্নভাণ্ডারে প্রবেশ করেছিল।
ওড়িশা হাইকোর্টের নির্দেশে ওই দলটি রত্নভাণ্ডারে ঢুকে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরজমিনে তদন্ত করে আসে। পাশাপাশি, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার একদল বিশেষজ্ঞ রত্নভাণ্ডারের কাঠামোও পরীক্ষা করে দেখে। তবে কোনও দলই মন্দিরের একেবারের ভেতরের প্রকোষ্ঠে প্রবেশ করতে পারনি। কারণ, তাদের হাতে সেই চাবি ছিল না। ফলে লোহার গ্রিলের বাইরে থেকেই বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখেন।
আরও পড়ুন-দাম নিয়ে বচসা, ভাটপাড়ায় প্রকাশ্যে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি ব্যবসায়ীকে
এই রত্নভাণ্ডারে রয়েছে ৭টি কক্ষ। প্রথম দুটি ঘর হল বাইরের কক্ষ। বাকী ৩টি কক্ষকে বলা হয় অভ্যন্তরীণ কক্ষ। দেখা যাচ্ছে, পুরী জেলা প্রশাসনের হাতে সেই চাবি নেই। কার কাছে সেই চাবি রয়েছে তারও কোনও হদিশ মেলেনি।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর উচিত গোটা বিষয়টির একটি ব্যাখ্যা দেওয়া। চাবি হারানোর পেছনে কে রয়েছে তা খুঁজে বের করতে হবে।’