Gyanvapi mosque: জ্ঞানবাপী নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্তে বিতর্ক উস্কে ট্যুইট মেহবুবা মুফতির
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড সোমবার জানিয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ১৯৯১ সালের উপাসনা স্থান আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। জ্ঞানভাপি শ্রিংগার গৌরী মামলায় আদালতের সিদ্ধান্তকে হতাশাজনক বলে অভিহিত করেছে তাঁরা। মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খালিদ সইফুল্লাহ রহমানি বলেন, জ্ঞানবাপীর বিষয়ে জেলা আদালতের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হতাশাজনক এবং দুঃখজনক।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জ্ঞানবাপী মামলায়, সোমবার বারাণসী জেলা আদালত হিন্দু আবেদনকারীদের পক্ষে রায় দিয়েছে এবং মসজিদ বোর্ডের আবেদন খারিজ করেছে। এই নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য রেখেছেন পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি। মেহবুবা মুফতি ট্যুইট করে বলেছেন যে জ্ঞানবাপীর বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত দাঙ্গা উসকে দেবে। বারাণসী জেলা আদালত মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করে দেয়। তারা বলে যে শ্রিংগার গৌরীর মামলা ‘মেন্টেনেবল’।
মেহবুবা মুফতির বিতর্কিত টুইট
জ্ঞানবাপী মামলায় আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, মেহবুবা মুফতি ট্যুইট করেছেন যে উপাসনার স্থান সংক্রান্ত আইন থাকা সত্ত্বেও, জ্ঞানবাপীর বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত দাঙ্গা উস্কে দেবে এবং একটি সাম্প্রদায়িক পরিবেশ তৈরি করবে যা বিজেপির এজেন্ডা। এটি একটি দুঃখজনক পরিস্থিতি যে আদালত তাদের নিজেদের সিদ্ধান্তকেই অনুসরণ করে না।
Court ruling on Gyanvapi despite Places of Worship Act will lead to rabble rousing & create a communal atmosphere which ironically plays into BJP’s agenda.Its a sorry state of affairs that Courts don’t follow their own rulings.
— Mehbooba Mufti (@MehboobaMufti) September 13, 2022
কী প্রতিক্রিয়া দিল মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড সোমবার জানিয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ১৯৯১ সালের উপাসনা স্থান আইনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। জ্ঞানভাপি শ্রিংগার গৌরী মামলায় আদালতের সিদ্ধান্তকে হতাশাজনক বলে অভিহিত করেছে তাঁরা। মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খালিদ সইফুল্লাহ রহমানি বলেন, জ্ঞানবাপীর বিষয়ে জেলা আদালতের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হতাশাজনক এবং দুঃখজনক।
আদালতের রায়ে হতাশা প্রকাশ
তিনি আরও বলেন যে ১৯৯১ সালে বাবরি মসজিদ বিতর্কের মধ্যেই সংসদ অনুমোদন করেছিল যে বাবরি মসজিদ ব্যতীত সমস্ত ধর্মীয় স্থানগুলি ১৯৪৭ সালের মতোই রাখা হবে এবং এর বিরুদ্ধে কোনও বিতর্ক বৈধ হবে না। এরপর বাবরি মসজিদ মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট ১৯৯১ সালের আইন বহাল রাখে।
আরও পড়ুন: Cheeta: আফ্রিকা থেকে আসছে আধডজন চিতা, কোন জঙ্গলে দেখবেন ভয়ংকর সুন্দর!
মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রাহমানী বলেন, এর পরও যারা দেশে বিদ্বেষ ছড়াতে চায় এবং যারা এদেশের ঐক্যের কথা চিন্তা করে না তারাই জ্ঞানবাপী মসজিদের বিষয়টি তুলে ধরে এবং দুঃখজনকভাবে স্থানীয় আদালত ১৯৯১ সালের আইনকে উপেক্ষা করে এবং একটি হিন্দু গোষ্ঠীর দাবি গৃহীত হয়।
আদালতের রায়
জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা বড় মোড় নেয় মঙ্গলবার। খারিজ হয়ে যায় মসজিদ কমিটির আবেদন। বদলে জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো-অর্চনা করতে দেওয়ার জন্য করা আবেদন গ্রাহ্য হল শোনার জন্য। জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে পুজো-অর্চনা করার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পাঁচ হিন্দু মহিলা। সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়েছে আদালতে। বারাণসী আদালত এদিন স্পষ্ট জানায় যে, পাঁচ হিন্দু মহিলার করা সেই আবেদন শোনা হবে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।