আন্তঃরাজ্য় চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি, প্রবাসী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের নির্দেশ কেন্দ্রের
ভিন রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের দায়িত্ব নিতে এবং তাঁদের উপার্জনের সাময়িক ব্যবস্থা করতেও রাজ্য সরকারগুলিকে জানানো হল এই নির্দেশিকায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। আগামীকাল থেকে কিছু নন-হটস্পট স্থানে লকডাউন শিথিল করতে চলেছে প্রশাসন। আর তার আগেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতেই এমন নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে, ভিন রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের দায়িত্ব নিতে এবং তাঁদের উপার্জনের সাময়িক ব্যবস্থা করতেও রাজ্য সরকারগুলিকে জানানো হল এই নির্দেশিকায়। "এত দ্বারা জানানো হচ্ছে যে, শ্রমিকদের তাদের বর্তমান রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অবস্থান থেকে বের হতে দেওয়া যাবে না" স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় নির্দেশিকায়।
ভিন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের উপার্জনের ব্যবস্থা করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারগুলিকে। সেখানে বলা হয়েছে, "এই মুহূর্তে যে ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা বিভিন্ন রিলিফ ক্যাম্পে আছেন, তাঁদের প্রত্যেকের নাম নথিভুক্ত করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে।" তাঁদের কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করেই সাময়িক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারগুলিকে।
আগামীকাল থেকে ধীরে ধীরে দেশের নন-হটস্পট স্থানগুলিতে লকডাউন শিথিল করা হবে। ৩৩ শতাংশ কর্মীদের নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু স্থানে শিল্প, নির্মাণ, কৃষি ইত্যাদি কাজ শুরু করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। সেই কাজগুলিতে আপাতত বেতনসহ শ্রমিকদের নিয়োগ করার ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেদিকে রাজ্যগুলিকে সচেষ্ট হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে কোনও পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি সেই রাজ্যেই হলে এবং তিনি বাড়ি ফিরতে চাইলে সেক্ষেত্রে কড়া পরীক্ষানিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের পর তাঁদের ফেরার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
কেন আন্তঃরাজ্য চলাচল বন্ধ করায় জোর দেওয়া হচ্ছে? আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা অনুযায়ী এক স্থান থেকে আরেক স্থানে দল বেঁধে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরলে তার থেকে রয়েছে বিপদের সম্ভাবনা। করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেশি এমন রাজ্য থেকে অপেক্ষাকৃত কম সংক্রমিত রাজ্যে বাড়ি ফিরলে তা সেই রাজ্যের পক্ষে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কোনও শ্রমিক করোনাভাইরাস আক্রান্ত হলে বহুদিন ধরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাত্রার ফলে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে আসবেন। তাছাড়া গ্রামের বাড়িতে ফেরার পর সেখানেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ। সে কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ জাত-ধর্ম দেখে না, এইসময়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: মোদী