উত্তরপ্রদেশকে এক নম্বর রাজ্য করার অঙ্গীকার রাহুলের

গত ১৪ নভেম্বর তাঁর ফুলপুরের জনসভার পরই তড়িঘড়ি আঞ্চলিকতাবাদ কার্ড খেলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। ঘোষণা করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশ ভেঙে নতুন চারটি রাজ্য গড়ার। গতকালই রাজ্য বিধানসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয়েছে বিএসপি সুপ্রিমোর এই প্রস্তাব।

Updated By: Nov 22, 2011, 07:40 PM IST

গত ১৪ নভেম্বর তাঁর ফুলপুরের জনসভার পরই তড়িঘড়ি আঞ্চলিকতাবাদ কার্ড খেলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। ঘোষণা করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশ ভেঙে নতুন চারটি রাজ্য গড়ার।
গতকালই রাজ্য বিধানসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয়েছে বিএসপি সুপ্রিমোর এই প্রস্তাব। বরাবাঁকিতে দলীয় জনসভায় যোগ দিতে এসে অবশ্য একবারের জন্যও বহেনজির এই নয়া রাজনৈতিক চাল নিয়ে মুখ খুললেন না রাহুল গান্ধী। বরং গোবলয়ের হৃদয়পুরে আগামী বছরের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রচারে এসে জাতপাত, ধর্ম, আঞ্চলিকতাবাদের সমীকরণের ঊর্ধ্বে উঠে নিজেকে সর্বজনগ্রাহ্য নেতা হিসেবে তুলে ধরারই চেষ্টা করেছেন নেহরু-গান্ধী পরিবারের পঞ্চম প্রজন্মের রাজনীতিক। সেই সঙ্গেই তাঁর বক্তব্যে গুরুত্ব পেয়েছে উন্নয়নের প্রসঙ্গ।
আমেঠির সাংসদের অভিযোগ, দেশ যখন এগোচ্ছে তখন ক্রমশ পিছোচ্ছে উত্তরপ্রদেশ। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের পাঠানো কোটি কোটি টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। ওই টাকায় ক্যালেন্ডার-পোস্টার-মূর্তি হচ্ছে। বিএসপির নেতৃত্বে লখনউতে মাফিয়াদের সরকার কায়েম হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ভাট্টা পারসৌলে কৃষকদের জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে রাজ্যে ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলি মায়াবতী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন সোনিয়া-তনয়।
সেই সঙ্গে তাঁর প্রতিশ্রুতি, ক্ষমতায় এলে আগামী পাঁচ বছরে উত্তরপ্রদেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেবে কংগ্রেস, এবং আগামী দশ বছরের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ সব দিক থেকে দেশের এক নম্বর রাজ্যে পরিণত হবে।
ক্ষমতাসীন বিএসপির পাশাপাশি বিজেপি এবং সমাজবাদী পার্টিকেও তীব্র আক্রমণ করেছেন কংগ্রেসের `ভবিষ্যতের নেতা`। তিনি বলেছেন, বিগত ২০ বছরে ক্ষমতাসীন এসপি এবং বিজেপি সরকারের অপদার্থদায় উত্তরপ্রদেশের দরিদ্ররা তাঁদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

.