উত্তর-পূর্বের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সংসদে

শুক্রবার সংসদের বাদল অধিবেশনে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এল, অসমের হিংসার জেরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বসবাসকারী উত্তর-পূর্ব ভারতের নাগরিকদের মনে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্ক। তাত্‍পর্যপূর্ণভাবে লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ অসমে গোষ্ঠী-হিংসা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তত্‍পরতার অভাবের অভিযোগ তুললেও এই সঙ্কটময় মুহূর্তে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সরকারের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেন।

Updated By: Aug 17, 2012, 12:40 PM IST

শুক্রবার সংসদের বাদল অধিবেশনে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এল, অসমের হিংসার জেরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বসবাসকারী উত্তর-পূর্ব ভারতের নাগরিকদের মনে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্ক। এসএমএস-এ হুমকির জেরে ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাই পুনে-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নাগরিকরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আজ লোকসভায় এ ব্যাপারে আলোচনার দাবি জানায় বিরোধীরা।
তাত্‍পর্যপূর্ণভাবে লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ অসমে গোষ্ঠী-হিংসা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তত্‍পরতার অভাবের অভিযোগ তুললেও এই সঙ্কটময় মুহূর্তে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সরকারের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেন।

এদিন অসমে হিংসার জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উত্তর-পূর্ব ভারতের নাগরিকদের মনে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সিপিআইএমের লোকসভার নেতা বাসুদেব আচারিয়া। তিনি বলেন, "বেঙ্গালুরু, চেন্নাই-সহ দেশের বিভিন্ন এলাকাকে উত্তর-পূর্ব ভারতের নাগরিকরা আর নিরাপদ মনে করছেন না। স্বাধীনতা ৬৫ বছর পরও কেন এমন ঘটনা ঘটছে, তা গভীরভাবে ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে।"
অন্যদিকে রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাঁর ভাষণে বলেন, "সংসদ-সহ গোটা দেশ উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষের পাশে আছে।" বেঙ্গালুরু-সহ কয়েকটি শহর থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীদের গণপ্রস্থান সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এই দেশ তাঁদেরও, তাঁরা যাতে দেশের যে কোনও প্রান্তে নিজেদের নিরাপদ মনে করেন সেই ব্যবস্থা করতে হবে"। সেই সঙ্গে দাঙ্গার গুজব ছড়ালে সরকার কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেও হুঁশিয়ারী দেন তিনি।

.