পরকীয়ায় পথের কাঁটা দেওর, প্রেমিককে নিয়ে বৌদি ঘটাল ভয়ংকর ঘটনা!
পরিকল্পনা অনুযায়ী গোলাপী ও অসিতকে নিমন্ত্রণ করে ৬ অগাস্ট নন্দকুমারের বাড়িতে ডেকে পাঠায় গোপাল। গোলাপী নিজের দেওরকে নিয়ে ৬ অগাস্ট নন্দকুমারে গোপালের বাড়িতে হাজির হয়। তারপর...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পথের কাঁটাকে সরাতে কৌশলে পুর্ব মেদিনীপুরে নিয়ে গিয়ে দেওরকে খুন করল বৌদি ও তার প্রেমিক। ঘটনার ৪০ দিন পর সারেঙ্গার মাকড়কোল গ্রামের এই ঘটনা জানাজানি হতেই মঙ্গলবার চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিস অভিযুক্ত বৌদি ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করে খাতড়া মহকুমা আদালতে পেশ করে। আদালত ২ জনকেই ৭ দিন পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকবছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে নিজের দুই সন্তানকে নিয়ে সারেঙ্গার মাকড়কোল গ্রামে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন গোলাপী প্রতিহার। পরিবারে একমাত্র পুরুষ হিসাবে ছিলেন দেওর অসিত প্রতিহার । সম্প্রতি দুজনের বনিবনা হচ্ছিল না। এরই মাঝে পেশায় কীর্তন শিল্পী পুর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার খঞ্চির বাসিন্দা গোপাল চন্দ্র জানার সাথে গোলাপীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপরই গোপাল ও গোলাপী দুজনে মিলে নিজেদের সম্পর্কের পথের কাঁটা হয়ে থাকা অসিতকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে।
সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গোলাপী ও অসিতকে নিমন্ত্রণ করে ৬ অগাস্ট নন্দকুমারের বাড়িতে ডেকে পাঠায় গোপাল। গোলাপী নিজের দেওরকে নিয়ে ৬ অগাস্ট নন্দকুমারে গোপালের বাড়িতে হাজির হয়। পরের দিন সেখানেই অসিতকে মদ্যপান করায়। তারপর জলে ডুবিয়ে খুন করে গোলাপী ও গোপাল। এরপর গোলাপী একা সারেঙ্গায় ফিরে এলে পরিবারের অন্যান্যদের সন্দেহ হয়। অসিত নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ৪০ দিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর অসিতের পরিবার সারেঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিস। তারপরই গোলাপী ও গোপালকে নিজের নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, জেরার মুখে দুজনেই অসিতকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে । পুলিস ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালাবে। ধৃতদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে অসিতের পরিবার।
আরও পড়ুন, Bengal Weather Today: শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির স্পেল দক্ষিণবঙ্গে, আজও ভাসবে কলকাতা