কোন্নগরে অধ্যাপক নিগ্রহকাণ্ডে অভিযুক্ত কাউন্সিলর তন্ময় দেব প্রামাণিককে শোকজ তৃণমূলের
তিনি কোন্নগর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে অধ্যাপক নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর তন্ময় দেব প্রামাণিককে শোকজ করল তৃণমূল। তিনি কোন্নগর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাঁর নির্দেশেই বুধবার কলেজে অধ্যাপকের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক নিগ্রহকাণ্ডের প্রতিবাদে আগামী ৭ দিন কালো ব্যাজ পড়ে কাজ করবেন অধ্যাপকরা। তাঁদের দাবি, অবৈধ ইউনিয়ন চলছে। এটা বন্ধ করতে হবে। অধ্যক্ষ এবিষয়ে সাত দিন সময় চেয়েছেন।
এদিন অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে কলেজে যান তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব ও উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তাঁরা প্রথমেই সুব্রতবাবুর কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চান। এমনকি তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন প্রবীর ঘোষাল। এই ঘটনার পিছনে কে রয়েছে তা অধ্যাপকের কাছে জানতে চান। কিন্তু প্রথমে অধ্যাপক তাঁর নাম নিতে অস্বীকার করেন।
বিধায়ক, জেলা সভাপতির পর নিগৃহীত অধ্যাপকের কাছে ক্ষমা চাইল হীরালাল পাল কলেজের ছাত্ররা
তিনি বলেন, “আমি যদি তাঁর নাম নিই, আমার কাল থেকে কলেজে ঢোকা বন্ধ হয়ে যাবে।” এরপর তিনি সুব্রতবাবুকে আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন। কে কত বড় দাদা হয়েছে, আমি দেখে নেব। আমি নামটা বলুন।” এরপরই সুব্রতবাবু বলেন, “কাউন্সিলর তন্ময় দেব প্রামাণিক যখন তখন কলেজে ঢুকে হম্বিতম্বি করেন।
কোন্নগরের নিগৃহীত অধ্যাপককে প্রণাম করে ক্ষমা চাইল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব
ছাত্রদেরকে অধ্যাপকদের পেটানোর জন্য ও কলেজে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য উস্কানি দেন। গতকাল তাঁর নির্দেশেই ছাত্ররা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমার ছাত্ররা এমনিতে তেমন নয় যে অধ্যাপকের গায়ে হাত তুলবে। গতকাল বহিরাগতের নির্দেশেই এমনটা হয়েছে।”
অধ্যাপকের কাছ থেকে সবটা শোনার পরই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় তৃণমূল। অভিযুক্ত কাউন্সিলর তন্ময় দেব প্রামাণিককে শোকজ করা হয়।