Relaunching Artemis 1: ফের আর্টেমিস-১! নাসার দৃষ্টি আর শুধু চাঁদে নয়, মহাকাশের আরও গভীরে...
Relaunching Artemis 1: দু'বার ভেস্তে গেছে। কিন্তু বিজ্ঞান তো পিছু হঠে না। সে আবারও নেমে পড়েছে তার ঈপ্সিত লক্ষ্যের দিকে। এবার দিন ঠিক হয়েছে আগামী ১৪ নভেম্বর।
![Relaunching Artemis 1: ফের আর্টেমিস-১! নাসার দৃষ্টি আর শুধু চাঁদে নয়, মহাকাশের আরও গভীরে... Relaunching Artemis 1: ফের আর্টেমিস-১! নাসার দৃষ্টি আর শুধু চাঁদে নয়, মহাকাশের আরও গভীরে...](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/10/13/392689-artemisnow.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আর্টেমিস-১ মুন মিশনের আওতায় আগামী নভেম্বরে ফের লঞ্চ হবে এই রকেট। অন্তত দু'বার ভেস্তে গিয়েছে। কিন্তু নাছোড় বিজ্ঞানীদল। আগের দুবার লিকুইড হাইড্রোজেন গ্যাস লিকের সমস্যার জন্য এই বিপত্তি ঘটেছিল। স্পেস লঞ্চ সিস্টেমে চাপিয়ে 'ওরিয়ন'কে মহাকাশে পাঠানো হবে। নাসার মুন মিশনের প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ ছিল অগস্টে।
গ্রিক পুরাণে আর্টেমিসের কাহিনি আছে। আর্টেমিস অ্যাপোলোর যমজ বোন। নাসা আগামি দিনে মঙ্গলে যে মিশন সফল করতে চায়, এ এক হিসেবে তারই মহড়া। চাঁদে মানুষকে পাঠানোই শুধু নয়, সেখান থকে তাঁদের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনাও করেছে আর্টেমিস। এটি 'আনম্যানড' একটি রকেট আকাশে ওড়াবে। উৎক্ষিপ্ত হবে সে চাঁদের দিকে যাওয়ার জন্য। এ হেন একটি মহা পরিকল্পনার পিছনে যে মানুষটি রয়েছেন তিনি মাইক সারাফিন। আর্টেমিস মিশন ম্যানেজার।
আরও পড়ুন: Aliens on Earth: আর রহস্য নয়! কয়েকমাস পরেই পৃথিবীতে নামছে এলিয়েনরা; জেনে নিন কবে...
আর্টেমিস ১
আর্টেমিস ১ মিশনে ওরিয়ন ক্রিউ ক্যাপসুল এবং একটি স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটকে টেস্ট করা হবে। এটি পরীক্ষামূলক, ফলত 'আনম্যানড'। প্রশান্ত মহাসাগরে ল্যান্ড করার আগে ওরিয়ন চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। এর পরে আছে আর্টেমিস ২। এর টার্গেট ২০২৪ সাল। অ্যাপোলো ৮ যেভাবে তার মিশন পূর্ণ করেছিল, এটাও তেমনই করবে। এই মিশনেও মানুষ থাকবে না। তবে আর্টেমিস ৩ মিশনে প্রথম মানুষ থাকবে। চাঁদের দক্ষিণে যেখানে জল বরফের আকারে জমে রয়েছে সেখানেই নাসার চন্দ্রযান প্রথম ল্যান্ড করবে বলে ঠিক হয়ে আছে। আর্টেমিস ৩-এর সম্ভাব্য সময়কাল ধরা হয়েছে ২০২৫ সাল।
মার্স মিশন
কিন্তু আর্টেমিসের কাজ এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। মানুষ এবার মঙ্গলে যাবে। যেটাকে বলা হচ্ছে-- 'দ্য নেক্সট জায়ান্ট লিপ-- হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন অফ মার্স'। এটাই কিন্তু আর্টেমিসের চূড়ান্ত লক্ষ্য। আসলে এই আর্টেমিস মিশন থেকে যে তথ্য় অনুসন্ধান করতে পারবে নাসা, তা সে মঙ্গল মিশনে ব্যবহার করবে।
কেন চাঁদ বা মঙ্গল নিয়ে এই লেগে পড়া?
আসলে নাসা দেখে নিতে চাইছে, গভীর মহাকাশে কী ভাবে টিকে থাকতে পারবে মানুষ, কী কী তার সুবিধা-অসুবিধা হতে পারে, আর সেসবের মোকাবিলাইবা কীভাবে সম্ভব হবে ইত্যাদি। অর্থাৎ, শুধু চাঁদ নয়, চাঁদেরও ওপারে দৃষ্টি নিবদ্ধ এখন সকলের।