নদীর চর দখলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র নদিয়ার গোঁসাইচর এলাকা
চরের দখলদারি নিয়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হল নদিয়ার গোঁসাইচর। দু'পক্ষের সংঘর্ষে জখম হয়েছেন ২০ জন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তিন জন। দু'জনের খোঁজ নেই। গঙ্গায় জেগে ওঠা চর কাদের দখলে থাকবে তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই গণ্ডগোল চলছিল নদিয়ার রানাঘাটের চাষিদের সঙ্গে হুগলির বলাগরের চাষিদের। সেই গণ্ডগোলের জেরেই সংঘর্ষ।
ওয়েব ডেস্ক : চরের দখলদারি নিয়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হল নদিয়ার গোঁসাইচর। দু'পক্ষের সংঘর্ষে জখম হয়েছেন ২০ জন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তিন জন। দু'জনের খোঁজ নেই। গঙ্গায় জেগে ওঠা চর কাদের দখলে থাকবে তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই গণ্ডগোল চলছিল নদিয়ার রানাঘাটের চাষিদের সঙ্গে হুগলির বলাগরের চাষিদের। সেই গণ্ডগোলের জেরেই সংঘর্ষ।
আরও পড়ুন- রাজ্যে আবারও ঘটে গেল এমন ঘটনা!
নদিয়ার রানাঘাট এক নম্বর ব্লকের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গায় জেগে উঠেছে গোঁসাইচর। চরের প্রায় দুশ বিঘা জমিতে কলা চাষ করেন রানাঘাট এক নম্বর ব্লকের প্রায় একশ বিরাশি জন চাষি। গঙ্গার ওপারে হুগলির বলাগড়। বলাগড়েরও বহু চাষি ওই জমিতে চাষ করেন। দুই জেলার চাষিদের মধ্যে জমি দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব বহুদিনের। এর মধ্যে নতুন করে গোঁসাইচরের এলাকা বাড়ে। আর তা নিয়েই রক্তারক্তি হল শনিবার। অভিযোগ, শনিবার সকালে জেগে ওঠা নতুন চরের জমি দখল করতে যান রানাঘাটের চাষিরা। আর তা নিয়েই লাঠালাঠি হয় বলাগড়ের চাষিদের সঙ্গে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন প্রায় কুড়ি জন। রানাঘাটের তিন জন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। দুজনের খোঁজ নেই। ঘটনার খবর পেয়ে দুই জেলার পুলিস নদী পেরিয়ে গোঁসাইচরে পৌছায়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌছানোর ব্যবস্থা করে পুলিস। সাময়িক ভাবে অশান্তি থামলেও, ওই এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।