পয়লা বৈশাখে প্রচারেও অভিনব বাংলা, কেউ লস্যিতে, কেউ মাদলে চাইলেন ভোট
কেউ বিলি করলেন লস্যি। কেউ আবার পদ্মফুল হাতে তুলে দিয়ে জানালেন শুভেচ্ছা। কোথায় আবার শোনা গেল ধামসা মাদলের সুর। বাংলা নববর্ষের প্রথমদিনটা অন্যরকমভাবে প্রচার সারলেন ডান বাম পদ্ম, সব শিবিরের প্রার্থীরাই।
সারাটা বছর কাটে রাজনৈতিক ব্যস্ততায়। বাংলা নববর্ষের দিনটাও রাজনীতির ময়দানেই কাটল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের। তবে, একটু অন্যরকমভাবে। শিলিগুড়ি পুরসভার সতেরো নম্বর ওয়ার্ডে এবার তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছেন গৌতম দেবের স্ত্রী শুক্লা দেব। সকালে থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্ত্রীর হয়ে ভোট চাইলেন গৌতম দেব। ব্যস্ত স্বামীকে প্রচারে সঙ্গে পেয়ে খুশি শুক্লা দেবও। জেতার বিষয়ে একশো শতাংশ নিশ্চিত তৃণমূল প্রার্থী। বাংলা বছরের প্রথমদিনটায় অন্যরকম প্রচারের সাক্ষী রইল বাঁকুড়া। ধামসা মাদলের সুরে প্রচার সারলেন ২৪ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী হীরালাল চট্টরাজ। পিছিয়ে ছিলেন না বিজেপি প্রার্থী আদিত্যমোহন সাহা। হাতে পদ্মফুল নিয়ে প্রতিটি বাড়িতে পৌছে গেলেন তিনি। একইসঙ্গে সেরে ফেললেন শুভেচ্ছা বিনিময়টাও।
নববর্ষের প্রথমদিনটা গঙ্গার ঘাট থেকে প্রচার শুরু করলেন নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অজয় দে। সঙ্গে চলল শুভেচ্ছা বিনিময়। দিনকয়েক ধরেই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে শিরোনামে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।বছরের প্রথমদিনটায় বিতর্ক দূরে সরিয়ে জোর দিলেন জনসংযোগের ওপর। কোচবিহারের বেশকয়েকটি ওয়ার্ডে প্রচার সারলেন তিনি। ঘাটালে বাম প্রার্থীদের হয়ে প্রচার সারলেন ভারতীয় গণনাট্য সংঘের কর্মীরা। ১৬ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী প্রচার সারলেন ট্যাবলো সাজিয়ে। ১১নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী প্রবল গরমে লস্যি খাওয়ালেন সকলকে। স্বস্তির সঙ্গে জনসংযোগ ফ্রি।