নাগাড়ে বর্ষণে পুজোর মুখে প্লাবিত রাজ্যের একাধিক অঞ্চল, চোখ রাঙাচ্ছে নদ-নদী
বন্যার আশঙ্কা কার্যত কাঁপছে বাংলা। দুর্গাপুর, পাঞ্চের, মাইথনের জলে ইতিমধ্যেই থইথই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা।
![নাগাড়ে বর্ষণে পুজোর মুখে প্লাবিত রাজ্যের একাধিক অঞ্চল, চোখ রাঙাচ্ছে নদ-নদী নাগাড়ে বর্ষণে পুজোর মুখে প্লাবিত রাজ্যের একাধিক অঞ্চল, চোখ রাঙাচ্ছে নদ-নদী](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/09/30/211313-untitled-1.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: একদিকে অতিবৃষ্টি অন্যদিকে ফের জল ছেড়েছে ডিভিসি। দুই-এর গেঁরোয় টইটুম্বুর রাজ্যের জলাধার। আর তাতেই পুজোর মুখে বাংলায় দেখা দিয়েছে সমূহ বিপদ। বন্যার আশঙ্কা কার্যত কাঁপছে বাংলা। দুর্গাপুর, পাঞ্চের, মাইথনের জলে ইতিমধ্যেই থইথই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা।
বিহারের বন্যা সামলাতে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। খুলে দেওয়া হয়েছে ফরাক্কার সব লকগেট। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর পরামর্শের পরই খুলেছ ১০৯টি গেট। কাজেই দক্ষিণে বন্যার আশঙ্কাও বেড়েছে এরসঙ্গে।
উৎসবের মুখে আশঙ্কার কালো মেঘে ঢেকেছে মালদা। টানা বর্ষণের জেরে ফুঁসছে গঙ্গা। মানিকচকে বাঁধ ভেঙে গিয়েছে জলের তোড়ে। প্লাবিত হয়ে গিয়েছে গোপালপুর, কামালতিপুর। শঙ্করতলা এলাকাতেও বাঁধে ফাটল দেখা গিয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ২১টি গ্রাম। মুর্শিদাবাদে গঙ্গার ভাঙন থামছে না। রবিবার বিকেল থেকে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বাগানবাড়ি ধানজমি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
বীরভূমে বিপদসীমার ওপর বইছে অজয়, ভাগীরথি। অন্যদিকে ফুঁসছে ময়ূরাক্ষী। দ্বারকার জলে ভেসেছে মহম্মদবাজার, তেঁতুলবেড়িয়া। শিউড়ির বেশকিছু এলাকায় কোমর জল। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে গিয়েছে একের পর এক গ্রামে। আগাম সতর্কতায় কাটোয়া মহকুমায় ৬টি ফেরি ঘাটই বন্ধ করেছে প্রসাশন। নৌকা সফর রুখতে ফেরি ঘাটে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিস। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
আরও পড়ুন: জলের তোড় সামলাতে ফরাক্কা ব্যারাজের সব ক'টি লকগেট খুলে দিল কর্তৃপক্ষ
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন ঘাটালের বিভিন্ন এলাকাও। চিন্তার ভাঁজ পুজো উদ্যোক্তাদের কপালে। সবমিলিয়ে জলযন্ত্রণার শিকার রাজ্য। প্রশাসনের তরফে খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। নদী তীরবর্তী গ্রামগুলিতে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।