India | Bangladesh: বড় ধাক্কা দেওয়ার 'ব্লু প্রিন্ট' বাংলাদেশে, সঙ্গে চিনও! ভারতে জন্য খুবই বিপজ্জনক...
India Bangladesh Relation: বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার পর এবং ইউনুস অন্তর্বর্তী সরকার গড়ার পর থেকেই সেই চাপা থাকা প্রোজেক্ট বেড়িয়ে আসে। প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, চীনের হোয়াংহো নদীর আদলে তিস্তা মহাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
![India | Bangladesh: বড় ধাক্কা দেওয়ার 'ব্লু প্রিন্ট' বাংলাদেশে, সঙ্গে চিনও! ভারতে জন্য খুবই বিপজ্জনক... India | Bangladesh: বড় ধাক্কা দেওয়ার 'ব্লু প্রিন্ট' বাংলাদেশে, সঙ্গে চিনও! ভারতে জন্য খুবই বিপজ্জনক...](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2025/02/12/521007-bangladesh.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজনইতিকভাবে চাপে রাখতে চাইছে বদলের বাংলাদেশ। তার জন্য ইউসুনের অন্তর্বর্তী সরকার হাত মেলাতে চলেছে চিনের সঙ্গে। অস্ত্র 'তিস্তা নদী'। বাংলাদেশের কাছে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই তিস্তা নদী? তিস্তা ভারতের একটি বৃহৎ অংশজুড়ে বহমান। পাশাপাশি বাংলাদেশের উপর দিয়েও গিয়েছে। আর এই নদী ঘিরেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে তিস্তা প্রোজেক্ট। যদিও জলের আদান-প্রদান ঘিরে নানান সমস্যা দুই দেশের বহুকাল ধরেই রয়েছে। তারপরেও শেখ হাসিনার সরকার এই প্রোজেক্টের থেকে চিনকে দূরে করে রেখেছিল।
কিন্তু বাংলাদেশ বদলের বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার পর এবং ইউনুস অন্তর্বর্তী সরকার গড়ার পর থেকেই সেই চাপা থাকা প্রোজেক্ট বেড়িয়ে আসে। এবং সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ সেই ব্লু প্রিন্টে চিনকেও সঙ্গে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তিস্তা ইস্যুতে এবার মাঠে নামছে বিএনপি। গত ২৫ বছর ধরে তিস্তা প্রকল্পের পরিকল্পনা ও সম্ভাব্যতা পরীক্ষা চললেও বাস্তবায়নে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশের অংশে তিস্তা নদী প্রবাহমান হলেও বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে জলের বৈষম্য প্রকট, যা কৃষি ও জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই চীনের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে নদী নিয়ন্ত্রণ ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আদায় এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে এবার মাঠে নামছে বিএনপি। তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করবে দলটি। ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদীর কাউনিয়া সেতু, মহিপুর সেতু এবং তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টসহ লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও নীলফামারী এই পাঁচ জেলার ১১টি পয়েন্টে তাবু খাটিয়ে একই সময়ে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। তিস্তা প্রকল্পের তিনটি মূল লক্ষ্য রয়েছে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, নদীভাঙন রোধ ও ভূমি পুনরুদ্ধার। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তিস্তা নদীর বাংলাদেশের অংশে একটি বহুমুখী ব্যারেজ নির্মাণ করা সম্ভব হবে, যা দেশের কৃষি ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে চীনের সঙ্গে তিস্তা মহাপ্রকল্প চুক্তি নবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, চিনের হোয়াংহো নদীর আদলে তিস্তা মহাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হবে, যেখানে থাকবে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে নির্মিত নদী নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তিস্তা নদীর ভাঙন রোধ, পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিতকরণ এবং কৃষি ও অবকাঠামো উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
আরও পড়ুন: আর মাত্র কয়েকদিন, পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতা! চূড়ান্ত দিন জানাল নাসা...
বিএনপি এর আগে ২০১৪ সালে ঢাকা থেকে তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ করেছিল। ওই বছরের ২২ এপ্রিল দলটির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতৃত্বে রাজধানীর উত্তরা থেকে লংমার্চের গাড়িবহরের যাত্রা শুরু হয়। যাওয়ার পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইল বাইপাস মোড়, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়িতে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ২২ এপ্রিল রাতে রংপুরে যাত্রাবিরতি থাকে। পরদিন ২৩ এপ্রিল রংপুরে সমাবেশের পর নীলফামারীর ডালিয়া ব্যারেজ অভিমুখে লংমার্চ যাত্রা শুরু করে। ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারেজের কাছে সমাবেশের মধ্য দিয়ে দুই দিনের সেই কর্মসূচি সমাপ্ত হয়। যদিও এই প্ল্যান যদি কার্যকরী হয় তাহলে একপ্রকার ভারতের উপর বৈদেশিক চাপ সৃষ্টি করবে বাংলাদেশ এবং চিন। সেইমত পরিস্থিতিতে ভারতের কী ভূমিকা থাকবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)